কবিতা
এই বড় পাওনা
তুমি যখন আমায় কবিতা শোনাতে বলো
আনন্দে ভরে ওঠে বুক।
আর দেখি, শীতের রোদের মতো তোমার হাসি
যেন এক আলাদাই সুখ |
আমি জানি না আমাদের আর কথা বলা হবে কি না,
আমি জানি না আমাদের আর দেখা হবে কি না,
আমি জানি না তুমি আর আমায় ভালবাসবে কি না,
তবুও আমার নেই কোনো বায়না
তুমি এখন আমার কথা শুনতে চাও, এই বড় পাওনা |
যখন মন হয় শান্ত
যখন মন হয় শান্ত
পারি আমি অনুভব করতে বাতাসের প্রান্ত |
যখন মন হয় শান্ত
মনে হয় প্রাণের নেই যে কোনো অন্ত |
যখন মন হয় শান্ত
ইচ্ছে করে হয়ে যেতে পাখি উড়ন্ত |
পিছুটান
লিখতে শেখালে আমায় কবিতা
এমনি তোমার জ্যোতির আলো,
ভালো লাগে এই সরলতা
ও গো, তুমি তো মায়ের মতই ভালো |
পূর্ণ হয়েছি তোমার লীলায়
ভরিয়েছো দেহে আরো প্রাণ,
যদি নদী দুটো মিশে এক হয়ে যায়
মোরে রেখো করে তোমার পিছুটান |
চল ভাই, বেরিয়ে আসি
চল ভাই, বেরিয়ে আসি
ছোট্ট কুয়ো থেকে সাগরে ভাসি
দেখবো জগৎ আর মানুষের হাসি
ভাগ করে নেবো বেদনার সুরে বাজা বাঁশি
উড়িয়ে দিই সকল ভয়
হয়ে উঠি আরও প্রাণময়
দাঁড়া, আগে কাটি গলার ফাঁসি ,
তারপর চল ভাই, বেরিয়ে আসি |
ভাঙতে পারো
ছুটছো তুমি লক্ষ্যহারা হয়ে
ব্যস্ত শহরের মাঝে
চাইলে খাঁচা ভাঙতে পারো নির্ভয়ে
একটু সবুজের খোঁজে ।
উড়িতে দাও
বন্দী হয়েছি নিজের খাঁচায়
তৈরী যাহা কল্পনায়
যদি প্রশ্ন করো , “কি চাও?”
এখনো বলিবো, উড়িতে দাও।
এখন আমি কি করি?
তোমার কাছে শুধু একটু তাপ চাই
কাছে আসিয়া দেখি কাঁটার ব্যাথা পাই |
ব্যাথা পাইয়া দূরে গেলাম সরে,
দূরে গিয়া বুঝিলাম, তাপের অভাবে যাবো মরে |
কাছে এলে কাঁটা পাই, দূরে গেলে মরি
তুমিই বলো এখন আমি কি করি?
না পেয়ে
তুমি বলেছিলে আমি শুনিনি,
তুমি বুঝিয়েছিলে আমি বুঝিনি,
দোষ করেছি জানি
সব কি ঠিক হবে ? যদি ভুল মানি |
তোমার এই রেশ
আমায় অনেক কিছু শেখালো বেশ |
তোমায় পেলে হয়তো থাকতাম সুখী হয়ে,
হলাম দার্শনিক না পেয়ে ।
করিয়ো না মোরে অবহেলা
ভাবি তোমার কথা চারি বেলা
চলো দুজনে সাজাই মেলা
আজীবন দেখিতে চাই তোমার হাসি-খেলা
ওগো, করিয়ো না মোরে অবহেলা |
যত্ন
দীর্ঘকালের অযত্নে
জমেছে ধূলোর মোটা আস্তরণ,
এমন পরিণতি হতো না
যদি পরিষ্কারে থাকতো মন |
এবার থেকে করবো যত্ন
আর জমতে দেবো না ধূলো |
অবশেষে বুঝলাম,
দামি শুধু জিনিসগুলো |
একাকিত্ব
কহো আপনার চিত্তকে
সংসারে একা নয় কে?
করিয়ো না ভয় একাকিত্বকে
পাইলেও পাইতে পারো, খুঁজে নিজকে।
ভিন্ন দৃষ্টি
স্রষ্টা করলো এক সৃষ্টি
পড়লো সেখানে মানবের ভিন্ন দৃষ্টি
তবুও রাখিয়া যাইতো সেখানে একতার মিষ্টি
কিন্তু পরিনামে হইলো, যেন বৈশাখের বৃষ্টি
আমার সূচনা
নষ্ট করেছি অনেক সময়
পেয়ে বসেছিল নানান ভয়
সব স্বপ্নছিল আঁকা, হিসেবে
কিন্তু কাটিয়ে দিলাম দিন শুধুই ভেবে |
তবে আর নয়, কহিলাম চিত্তকে
এবার খুঁজে পেয়েছি নিজেকে,
তাই যতই আসুক বঞ্চনা
করবো এক নতুন সূচনা !
দাগ রেখে যেও
এপারেতে এসেছি কিছু সময় হলো
ওপারেতে কি আছে? জানলে তা বলো
সময় ফুরালে ছাড়বে তরী এই তীরের
মোরা অতীথ কয়েকদিনের |
ওপারেতে যাচ্ছি এবার দেখবো কি আছে
এপারেতে ছিলাম হয়ে ব্যাঙ কুয়োর মাঝে
সময় ফুরালে তুমিও এসো
তার আগে, হে বন্ধু দাগ রেখে যেও।
এযাত্রা
আমায় এখানেই নামতে হবে
তুমি যাবে দূরে
পথ এখন ভিন্ন হবে
সময় পেলে দেখও ফিরে |
স্বপ্ন গুলো আবার মোড় নেবে ডানা মেলে
হারিয়ে যেও না এই ভিড়ে,
তবুও এযাত্রা যাবো নাকো ভুলে
থাকবো মেতে তোমারই সুরে |
কাছে
যখন তুমি এলে কাছে
ভাবিলাম, আর কি কোনো দুঃখ আছে?
এখন তুমি আসো না আর কাছে ,
তাই কবিতায় আমার বিচ্ছেদের সুর বাজে |
যখন তুমি আবার আসবে কাছে ,
রাখবো তোমায় হৃদয় মাঝে |
আমার আমিতে নই আমি একা
প্রথমে আমার আমি কে করিতাম না পছন্দ,
তাই দিলাম এক নতুন আমি র জন্ম
বাদ দিয়ে সকল মন্দ |
নতুন আমিই হাতে তুলে নিল শাসনভার,
আর করলো মোরে ধন্য বার বার |
ভাবিলাম, পুরোনো আমি হয়তো গেছে মরে,
কারণ আর দরকার নাই তারে |
বুঝিলাম, আমার আমিতে নই আমি একা,
পুরোনো আমি রয়েছে সুপ্ত, মাঝে মাঝে দেয় দেখা |
পুরোনো আমি , নতুন আমি দুই রয়েছে মিলে, যেন সমান্তরাল রেখা ।
হাঁটা
কি করিলাম ভবে এসে?
কবে দিবো হাঁটা?
ভয় কি পেতেই হবে?
থামবে না এই ঘড়ির কাঁটা?
ওরে, এবার শুরু করেছি হাঁটা
হামাগুড়ি ছেড়ে ।
অনেকটা পথ চলতে হবে
দেখি কে আটকায় মোরে !